এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে বিকল্প চিন্তা করছেন

এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা কীভাবে নেওয়া হবে তা নিয়ে চিন্তায় মন্ত্রণালয় ও শিক্ষাবোর্ডের কর্তা ব্যক্তিরা। পরীক্ষা নিয়ে চরম উদ্বেগে সময় কাটাচ্ছে শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর ৬০ দিন ক্লাস করিয়ে এসএসসি এবং ৮৪ দিন ক্লাস করিয়ে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এজন্য সংক্ষিপ্ত সিলেবাস করে শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। কিন্তু করোনার কারণে দুইবার তারিখ দিয়েও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থেকে পিছু হটতে হয়েছে।

চলতি বছর হয়তো আর পরীক্ষা নেওয়া যাবে না, এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এর আগে সংসদে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, শিগগিরই এসএসসি-এইচএসসির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেওয়া হচ্ছে।

করোনার বর্তমান পরিস্থিতি কখন স্বাভাবিক হবে, কখন শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরানো যাবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। তাই আপাতত পরীক্ষা বাদে বিকল্প পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করার পথে এগুতে হচ্ছে। সেজন্য শিক্ষাবোর্ডসহ বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। তাদের সুপারিশ পেলেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা শিক্ষার্থীদের জানিয়ে দেওয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার অনুমতি মিললেও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয়। এক প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা জানান আন্তঃশিক্ষাবোর্ডের সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর নেহাল আহমেদ।

বিকল্প পদ্ধতির ব্যপারে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের একজন কর্মকর্তা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ৩০ নম্বরের অ্যাসাইমেন্ট মূল নম্বরের সঙ্গে যোগ হয়। এখন যেহেতু মহামারি পরিস্থিতি তাই অ্যাসাইনমেন্ট হতে পারে প্রধান বিকল্প পদ্ধতি। এছাড়াও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জেএসসি ২৫ শতাংশ ও এসএসসি পরীক্ষার ৫০ শতাংশ এবং ২৫ শতাংশ নম্বর অ্যাসাইনমেন্টের ওপর মূল্যায়ন করার প্রস্তাব রয়েছে। এসএসসির ক্ষেত্রে জেএসসি পরীক্ষার ফলে ৫০ শতাংশ আর বাকি ৫০ শতাংশ নম্বর স্কুল পারফরম্যান্স বা অ্যাসাইনমেন্টের ওপর মূল্যায়ন করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

পরীক্ষা না হলে বিকল্প কোন পদ্ধতিতে মূল্যায়ন হবে তার কোনো সঠিক দিকনির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে না। ফলে পড়াশোনা বেশ ব্যাঘাত ঘটছে। কবে কীভাবে পরীক্ষা নেওয়া হবে তা আমরা জানি না, বলছেন শিক্ষার্থীরা।